ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। জেলার সবচেয়ে বড় এ স্বস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই রোগীদের। তারা দ্রুত হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগসহ খাবার সরবারহ কাজের রি-টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে সিন্ডিকেটের কবজায়। খাবার সরবারহ, ওষুধ, কেনাকাটাসহ সব কাজ হয়ে থাকে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও ভাঙেনি সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছর ধরে মেসার্স বার্ডস কন্সট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সদর হাসপাতালের খাবার সরবরাহ করছে। অভিযোগ আছে, হাসপাতালে যখন যে তত্ত্বাবধায়ক আসেন তখনই ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলেন। পরে সিন্ডিকেট করে সরকারি বরাদ্দের তুলনায় রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। এবারও খাবার সরবরাহের ঠিকাদারি কাজ বার্ডস কন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট করে হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রি করার অভিযোগও আছে। জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, সদর হাসপাতালে খাবারসহ অন্যান্য খাতে ঠিকাদার নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পেয়েছি। খুব দ্রুত ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অন্য সব সদর হাসপাতাল যে নিয়মে পরিচালিত হয়, আমাদের হাসপাতালও সেই নিয়মেই চলছে।’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বার্ডস কন্সট্রাকশনের মালিক মামুন আজিজ বাবুর মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।