গাছ আমাদের বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে, যা দিয়ে আমরা বেঁচে থাকি। গাছ থেকে মানুষসহ সব প্রাণী নানা সুবিধা পেয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেঁচে থাকা। গাছ নদী ভাঙন রোধ করে, ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে আমাদের বাঁচায়। সর্বোপরি গাছকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে বাস্তুতন্ত্র। হাওর রক্ষায় আমরা ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিবেশ সংগঠক, কবি তাহমিনা বেগম গিনি এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সদস্যসচিব, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী শরীফ জামিল। এ সময় মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, আলী নোয়াজ, তোফাজ্জল সোহেল, মো. বাহার মিয়া, ডা. ফরাস উদ্দিন, মো. রায়হান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শরীফ জামিল বলেন, হাওরে ব্যাপক জনবসতি করে উঠেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য এবং এই জনপদের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে হাওরে গাছ লাগানো এবং হাওরের গাছ সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এলাকাবাসীকে গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করতে এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। তোফাজ্জল সোহেল বলেন, গরমের দিন গাছের আশপাশে ছায়া থাকে এবং শীতল আবহাওয়া পাওয়া যায়। গাছ আমাদের বিশুদ্ধ বাতাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এ ছাড়া সবুজায়ন আমাদের প্রাণিকুল, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ ও এতে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ‘গাছ মামা’ হিসেবে পরিচিত মো. রায়হান মিয়া ও লাখাই উপজেলার মহিউদ্দিন আহমদ রিপনকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের ‘সবুজ সাথী’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। গাছ রোপণে উৎসাহ প্রদানকারী সংস্থা জব ফর হিউম্যান রিসোর্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেড় শতাধিক গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে এ কর্মসূচিতে।