‘হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের ফিরে পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে?’ এমন প্রশ্নই আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচিতে আসা হারানো মানুষগুলোর স্বজনদের। বাবার জন্য কাঁদছে সন্তান, সন্তানের জন্য কাঁদছে মা। স্বামীর জন্য স্ত্রী কাঁদছে, ভাইয়ের জন্য ভাই। নিখোঁজ মানুষগুলোর জন্য পরিবারের সদস্যদের শুধু কান্না আর কান্না। কথিত আয়নাঘর বা বন্দিশালার সঙ্গে জড়িত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে বিচার করতে হবে এবং তাদের কোনো প্রকার দায় মুক্তি দেওয়া যাবে না। গুমসহ সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। গতকাল সকালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর- রাজশাহী : মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে দেশের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এবং মায়ের ডাকের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অধিকারের রাজশাহীর সমন্বয়ক সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় মানবন্ধনে বক্তৃতা করেন, গণমাধ্যমকর্মী ডা. নাজিব ওয়াদুদ, আবদুল আউয়াল, বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রাজন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব প্রমুখ।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ও মায়ের ডাকের উদ্যোগে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়েছে। সকালে শোকর্যালি শেষে নগরীর ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকার ময়মনসিংহ নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী, সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন। বক্তৃতা করেন অ্যাডভোকেট নূরুল হক, অ্যাডভোকেট মাহবুব-উল-আলম, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংবাদিক আবদুল আউয়াল, সাজ্জাতুল ইসলাম, মনির হোসেন প্রমুখ। সিরাজগঞ্জ : সকালে মায়ের ডাক ও অধিকারসহ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বাজার স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে র্যালি বের করা হয়।