শিরোনাম
শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

রত্নাই নদীতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

রত্নাই নদীতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রামে রত্নাই নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুই পাড়ের হাজারো মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এখানে সেতু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এ এলাকার মানুষ। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তা যেন লাল ফিতায় বন্দি হয়ে আছে। একটি বাঁশের টারের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়তই পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, বাঁশের টারে ধরে নদী পার হতে গিয়ে গত পাঁচ বছরে দুজন নিহত ও আহত হয়েছে ১১ জন। এ জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘বারবার আবেদন করেও সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। গত দুই বছরে দুবার মাটি পরীক্ষা করেছে এলজিইডির প্রকৌশলীরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’ সরেজমিন জানা গেছে, সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রামে রত্নাই নদীর (ফুল সাগর) ওপর সাধারণ মানুষ অস্থায়ী বাঁশের টার দিয়ে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। এ নদীর পূর্ব পাশে বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা এবং দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে ভাটিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। নদীর ফুল সাগরের এক পাশে বনগ্রাম ও অন্য পাশে দক্ষিণ বনগ্রামসহ ৬টি গ্রাম। এসব গ্রামে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে। এ এলাকা কৃষিনির্ভর। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। সেতু না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বনগ্রাম এলাকাবাসী মহসিন (২৮) ও নূর মোহাম্মদ (৫৭) বলেন, বনগ্রামের রত্নাই নদীর ফুল সাগরের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশ যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে পারাপার হতে হয়। এখানে একটি পাকা সেতু হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বিদ্যালয়ে যেতেও অনেক কষ্ট করতে হয়। এখানে সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে। রিকশা চালকরা বলেন, আমাদের রিকশা অন্যের বাড়িতে বৈদ্যুতিক চার্জে রেখে ফুল সাগরের ওপর দিয়ে বাঁশের টার বেয়ে আসতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। কৃষকরা জানান, সড়ক যোগাযোগ ভালো না হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ফসল পানির দামে বিক্রি করতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও এখানে সেতু হয়নি।সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বললেন, গত দুই বছরে দুবার মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী খুব দ্রুতই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হবে। ওই নদীর এপাড়-ওপাড়ে হাজারো মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। আশা করছি দ্রুতই কষ্ট লাঘব হবে। সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, আশা করছি খুব দ্রুতই সেতুর কাজ শুরু হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর