ইন্ডিয়ান আইডলের দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়ার ছেলে জাহিদ অন্তু। গত ১৮ জুলাই ভারতের কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডের পিবি একাডেমিক স্কুল ভেন্যুতে বাছাই পর্বে অডিশন দিয়েছিলেন জাহিদ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি এ অনুষ্ঠানের প্রাথমিক রাউন্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বিভিন্ন শিল্পীর জনপ্রিয় গান গেয়ে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। পাশাপাশি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল আয়োজিত রিয়্যালিটি শো ইয়াংস্টার সিজন ২-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জাহিদ অন্তু।

জানা যায়, ইন্ডিয়ান আইডলের প্রাথমিক রাউন্ডে নির্বাচিত হয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন জাহিদ। একদিনে তিনটি পর্বে বেশকিছু হিন্দি গান গাইতে হয়েছে তাকে। প্রথমে ফরম পূরণ করার সময় একটু ভড়কেই গিয়েছিলেন। কেননা প্রাথমিক বাছাই পর্বে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সাত-আটশ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে মনোনীত হয়েছেন ৪০ জন। ওই প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসনে ছিলেন ভারতের গুণী শিল্পীরা। জাহিদ বাংলাদেশি জানতে পেরে তারা তার সঙ্গে বাংলা ভাষাতেও কথা বলেন। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উঠে এসেছে সেসব আলাপনে। সেকেন্ড যে রাউন্ড হয়েছে, তাতে পাঁচজন বিচারক ছিলেন।  জাহিদ অন্তু জানান, ইন্ডিয়ান আইডলে অংশ নেবেন সেজন্য কিন্তু তিনি কলকাতা যাননি। গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কাজে। পরে জানতে পারেন সেখানে ইন্ডিয়ান আইডলের জন্য অডিশন হচ্ছে। জাহিদ বলেন, ইন্ডিয়ার বাইরে থেকে কেউ অংশ নিতে পারে না। তারপরেও আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। তিনি আরও জানান, মিউজিক ছাড়া, গিটার বাজিয়ে এবং পরে মিউজিকের সঙ্গে সব হিন্দি গান গেয়েছি। আমার পারফর্মে বিচারকরা খুশি ছিলেন। ওখানে যারা ছিলেন সবাই একবাক্যে বলেছেন, আমি মোস্ট ডির্জাভিং। ভাগ্য ভালো হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সেখান থেকে কল পাব। তারা ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা রেখে দিয়েছেন। যদি সুযোগ পাই তাহলে এরপর সরাসরি মুম্বাই যেতে হবে।

বগুড়া আর্মড ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে (এপিবিএন) পড়ালেখা করা জাহিদ অন্তু ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বগুড়া এপিবিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ার সময় মূলত ওই প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন জিন্নাহর অনুপ্রেরণায় গান গাওয়া শুরু করেন। জাহিদ অন্তু গান গেয়ে শুধু ভাইরাল নয়, বিখ্যাত হতে চান।