প্রতারণা ও দুর্নীতির করে যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখা হতে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ব্যাংকের ১৬ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪২১ টাকা ৭ পয়সা ক্ষতির অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলায় ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকসহ চাকরিচ্যুত ৫ কর্মকতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো, তারিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর গত ৩০ জুলাই স্বাক্ষরিত এই মামলার অভিযোগপত্র বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করেন। যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক (বর্তমানে চাকরিচ্যুত) ৫ কর্মকর্তরা হলেন- রংপুর মহানগর এলাকার মোহতাসিম বিল্লাহের ছেলে তৎকালীন এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মোঞভ সাওগাত আরমান (৪৫), নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁর সিরাজুল হকের ছেলে সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. রেজওয়ান হক (৪১), বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পারতিতপরল এলাকার মৃত আবদুল জলিল আহম্মেদের ছেলে সাবেক এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম (৪৩), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাইটকাপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাবেক কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ (৪০) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চক কল্যাণী এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে সাবেক এফএভিপি ও সাব-ম্যানেজার মোঃ নুরুল ইসলাম (৫২)।
এই মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, আসামিরা যমুনা ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখায় কর্মরত থাকাকালে ব্যাংকের নিয়ম নীতি অমান্য করে প্রধান কার্যালয়ের কোন অনুমোদন না নিয়ে কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে টেন্ডার সিকিউরিটি, পারফরমেন্স জামানত পে-অডার ইস্যুকালে ব্যাংকের প্রাপ্য কমিশন ও সরকারের ভ্যাট, স্ট্যাম্প চার্জ এবং মার্জিন গ্রহণ না করে আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংকের ১৬ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪২১ টাকা ৭ পয়সা ক্ষতি করেন।