বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট। এ হাটে প্রবেশের একমাত্র সড়কটির দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে কোথাও কোথাও কার্পেটিংসহ খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটের অবস্থান। বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে হওয়ায় হাটে প্রবেশের সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, এর করুণ অবস্থা। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ও পাথরসহ খোয়া উঠে গেছে। সড়কটি শুধু ধাপহাটই নয় বগুড়া-দুপচাঁচিয়া ভায়া মোলামগাড়ী সড়ক নামে পরিচিত। এ সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। একটু বৃষ্টিতেই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। সড়কের দুই পাশে ড্রেন না থাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টির সময় রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
জানা যায়, সপ্তাহে দুই দিন (বৃহস্পতি ও রবিবার) বসে ধাপহাট। হাটবারগুলোতে শুধু দুপচাঁচিয়া উপজেলাই নয় বগুড়া জেলা সদর এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মানুষ এ হাটে কেনাকাটার জন্য আসেন। বিশেষ কওে কোরবানির হাটগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা হাটে ভিড় করেন। এ হাট থেকে কোরবানির গরু, ছাগল কিনে ভটভটি, ট্রাকবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহনের সময় পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। অনেক সময় খানাখন্দে ট্রাক, ভটভটির চাকা আটকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। হাটটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম। প্রতি বছর হাট ইজারা থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা রাজস্ব পায় পৌরসভা। দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জানান, মেইল বাসস্ট্যান্ড ধাপহাট সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধাপহাট পৌরসভার রাজস্ব আয়েরও একটি বড় মাধ্যম। অথচ হাটের রাস্তার উন্নয়নে পৌরসভা বরাবরই উদাসীন। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান। উপজেলা প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানান, দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ধাপসুলতানগঞ্জ হাটের প্রবেশের সড়কটি আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ছিল। পরবর্তীতে দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়। পৌর এলাকায় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ করার বিধান নেই।