শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

মফিজ বিশ্বাসের জুলুমে কম্পিত ২৭ গ্রাম

আওয়ামী লীগ আমলে চেয়ারম্যান হয়ে করেছেন রাজ্যের অপকর্ম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ উদ্দীন বিশ্বাস যেসব জুলুম করেন তাতে কম্পিত ২৭ গ্রাম। হত্যা, নির্যাতন, দখলবাজি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন-নিপীড়ন সবই করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চালিয়েছেন ত্রাসের রাজত্ব। তার কথার বাইরে গেলেই চলে বাড়িঘরে হামলা, জমি-সম্পদ দখল। তার অত্যাচার নির্যাতনের বীভৎসতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পরই থানা পুলিশের সহায়তায় তিনি দখলবাজিতে মেতে উঠেন। ২০২১ সালে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীন বিশ্বাসের ভাতিজা আসলাম রঘুনন্দনপুর গ্রামের কাশেম শেখের ৭ লাখ টাকা মূল্যের শুকনা হলুদ জোর করে নিয়ে যান। আসলামকে দিয়ে ইউনিয়নে বিভিন্ন অপকর্ম করাতেন চেয়ারম্যান। ৭ জানুয়ারির ভোটের পর রঘুনন্দনপুরের মনিরুজ্জামান সজীবের জৈব সার কারখানায় লুটপাট ও ভাঙচুর করে দখলে নেয় তার ক্যাডার বাহিনীরা। কারখানটি বন্ধ করে দেয়। তিন মাস বন্ধ ও দখলে রাখার পর ৩ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে কারখানা প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেন মফিজ। বাগুটিয়া গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগবাণিজ্যও করেন।  অভিযোগ রয়েছে, গ্রামের ভিতর কেউ ছোট দোকান দিয়ে ব্যবসা করলেও চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডারদের চাঁদা দিতে হতো। চাঁদা না দিলেই দোকান বন্ধ করে দিতেন। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মসলেম উদ্দীন জানান, ‘তিনি ১৬ বছর বাড়ি যেতে পারেন না। চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ইটভাটাটি পরিত্যক্ত পড়েছিল। আমি চালু করেছি। এলাকার মানুষকে নায্য টাকা দিয়ে মাটি বালু তুলেছি। এখন অনেকে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। ঝিনাইদহ শহরে বসবাস করেন। গ্রামে বসবাসরত তার স্বজনরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদের জমি দখল করেছে চেয়ারম্যান মফিজ।’ রঘুনন্দনপুর গ্রামের খায়রুল হোসেনের ৩৫ বিঘা জমির ইটভাটা দখল করেছেন মফিজ। এর আগে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানো হয় অভিযোগ পরিবারের। খায়রুল এখনো কারাবন্দি। শুধু ইটভাটা দখল করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। গ্রামের মানুষের চাষের ২২ বিঘা জমি দখল করে বালু তুলে রীতিমতো নদী বানিয়েছেন। ১৬ বছর ওই মালিকরা চাষতো দূরের কথা ওই জমির ধারেকাছেও যেতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর