বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
বংশী নদীতে সেতু নির্মাণ

পাঁচ বছরে দুই পিলার

ধীরগতির নির্মাণকাজে দুর্ভোগ কয়েক লাখ মানুষের

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

পাঁচ বছরে দুই পিলার

ধামরাইয়ের সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার ধামরাইয়ের সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এটি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। তবে পাঁচ বছরে নির্মাণ হয়েছে শুধু সেতুর দুটি পিলার। ঠিকাদার নদীর মাঝখানে ওই পিলার দুটি উঠিয়েছেন। এ ছাড়া দুই পাশে হালকা কিছু করেছেন। সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ধামরাইয়ের কয়েক লাখ মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ও ফুকুটিয়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে গেছে বংশী নদী। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধামরাইয়ের চাপিল, নওগাঁও, দেপাশাই, আশুলিয়া, কুড়াইল ভাঙা, সোমভাগ, ফুকুটিয়া, শৈলানসহ প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ এ বংশী নদী পারাপার হয়। বর্ষায় খেয়া নৌকায় ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা সদরসহ ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন তারা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার। কিন্তু ঠিকাদার তা করছেন না। সেতু বাস্তবায়ন তদারকি কর্মকর্তারা সঠিকভাবে তা করছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ কারণে কাজের ধীরগতি হচ্ছে দাবি তাদের। ধামরাই উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জিডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সোমভাগ-ফুকুটিয়া বংশী নদীর ওপর ৯৮ দশমিক ১০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে টেন্ডার হয়। মেসার্স সুরমা অ্যান্ড খোশেদা এন্টারপ্রাইজ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ টাকায় কাজটি পান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এটি নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু নদীর দুই পাড়ে দুটি কলামের আংশিক কাজ করেই ২০২০ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়। এরপর কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে তিন দফায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের শেষের দিকে আবার কাজ শুরু করে। নদীর মাঝখানে আরও দুটি পিলার নির্মাণ শেষ করার পর এ বছরের প্রথম দিকে আবার কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। সাধারণ মানুষ শুধুই দিন গুনে যাচ্ছেন সেতুর কাজ কবে শেষ হবে। এ ব্যাপারে সেতু নির্মাণকাজের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য জানান, দ্রুতই সেতুর কাজ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর