উজান থেকে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গোমতী নদীতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। নদীর তিতাস উপজেলা অংশে গত কয়েক দিনে বিলীন হয়েছে অন্তত ৬০ পরিবারের বসতভিটা। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে আরও অর্ধশত ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীতীরের বাসিন্দারা। গোমতী নদী প্রবাহিত হয়েছে কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম তিতাস। ১৫ দিন আগে গোমতীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। তখন তীব্র স্রোতে তিতাস উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দেয়। সরেজমিনে বুধবার গিয়ে দেখা যায়, তিতাসের দক্ষিণ নারান্দিয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ঘর কোনোভাবে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারলেও জমিজমা সব নদীর পেটে চলে গেছে। একই গ্রামের আবদুস সালাম, আবুল হাসেম, বাদশা মিয়া, সাগর, মান্নান ও মনোয়ারারের পরিবারও সব হারিয়েছে। দিনমজুর আবুল হাসেম বলেন, ‘আমার ঘরবাড়ি সব নদী নিয়ে গেছে। এখন মসজিদে থাকি। ছেলেমেয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বাপদাদার ভিটেমাটির কোনো চিহ্নই এখন নেই। সবই গিলে খেয়েছে গোমতী।’ তিতাসের ইউএনও সুমাইয়া মমিন বলেন, ‘নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা হাতে পেয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।’ কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্র্র্নির্মাণে প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’