স্বাভাবিক হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে বাড়ছে পর্যটকের আনাগোনা। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকত ঘুরে দেখা যায়, কেউ সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন, কেউ ঘোড়ায় চরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ সৈকতের হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন, কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ ছাড়া রাখাইনদের শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ঐতিহাসিক কুপ, আরাকান রাজ্য থেকে আড়াইশ বছর আগে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কুয়াকাটায় আসা সেই পালতোলা নৌকা ভিড় করে দেখছেন আগত পর্যটকরা। রাখাইন মার্কেট, তিন নদীর মোহনা, লেবুর বন, শুঁটকি পল্লী, ঝাউবন ও গঙ্গামতিসহ সব পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের ভিড়ে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে পেয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতষ্ঠানগুলোতে। তবে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সৈকতসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, কুয়াকাটা নাম শুনলেই চোখের সামনেই ভেসে ওঠে চির সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী আদিবাসী রাখাইনপাড়া। দীর্ঘ সৈকত লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলোকাকলী। সারি সারি ঝিনুক। বিশাল সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। সাগরের বিশালতার পাশাপাশি এ অপরূপ সৌন্দর্য যেন বিমোহিত করেছে ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীদের। রয়েছে সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত অবলোকন। পর্যটকরা জানান, আগে পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল মোটেল ছিল না। এখন আবাসন ব্যবস্থা, পর্যটন স্পট এবং কুয়াকাটা পর্যটক বান্দব হওয়ায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে লাখো মানুষের সমাগম হয়। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন ব্যবসায়ী রাসেল হাওলাদার জানান, চলতি সপ্তাহে পর্যটকের আগমন বাড়ায় কিছু বেচা-বিক্রি বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা বিক্রি।