শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
চরফ্যাশন-ঢাকা নৌরুট

রোটেশনে জিম্মি লঞ্চযাত্রীরা

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাশন (বেতুয়া)-ঢাকা রুটে লঞ্চ মালিকদের অবৈধভাবে করা রোটেশনে জিম্মি যাত্রীরা। রোটেশন পদ্ধতিতে চলা চলাচল করায় যাত্রী, ব্যবসায়ী ও ঘাটশ্রমিকরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।

বেতুয়া-ঢাকা নৌরুটে আগে ৩-৪টি কোম্পানির লঞ্চ নিয়মিত যাতায়াত করত। রোটেশন করার পর একই মালিকের ২-১টি চলাচল করছে। যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। তাদের নির্ধারিত ভাড়া না দিলে করা হয় অসদাচরণ। মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে বেতুয়া ঘাট থেকে বিমুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। বিকল্প হিসেবে ঘোষেহাট, লালমোহন, ভোলা লঞ্চঘাট ব্যবহার করছেন তারা। বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা রয়েছে- প্রত্যেক কোম্পানির একটি করে লঞ্চ বেতুয়া-ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করবে। রোটেশনের আগে তিনটি কোম্পানির এমভি কর্ণফুলী, এমভি তাসরিফ, এমভি ফারহান ও এমভি টিপু বেতুয়া-ঢাকা নিয়মিত চলাচল করত। রোটেশন করায় এক বছর একই মালিকের ১-২ লঞ্চ চলাচল করছে। ফলে যাত্রীদুর্ভোগ বেড়েছে। এ রুটের একজন লঞ্চ মালিক জানান, পদ্মা সেতু এবং ভোলা থেকে ডে-লঞ্চ সার্ভিসের কারণে অধিকাংশ সময় তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। লাভের আশায় এই প্রথা (রোটেশন) চালু হয়।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আকতারুল আলম সামু বলেন, রোটেশন করায় মালিকদের কাছে জিম্মি সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। রোটেশনের পক্ষে নেওয়া প্রতিবেদন জনস্বার্থ পরিপন্থি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, লঞ্চ মালিকরা রোটেশন করায় সেবাবঞ্চিত সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে রোটেশন বাতিল না করলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। ইউএনও জানান, এ পদ্ধতি বিলুপ্ত করতে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সর্বশেষ খবর