বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধীরে ফিরছে হাবিপ্রবির স্বাভাবিক পরিবেশ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ধীরে ধীরে ফিরে আসছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকার পতনের পর অচলাবস্থার মধ্যে ১৮ আগস্ট একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ফিরে আসা এবং ক্লাস-পরীক্ষা চালু হলেও এক প্রকার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছিল। ভিসিসহ প্রশাসনিক পদগুলো শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মাস উপাচার্যসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা না থাকায় কাজে কিছুটা স্থবিরতা তৈরি হয়। এ পরিস্থিতিতে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে গতিশীলতা। সংকট নিরসনে আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, জানালেন দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের কীটতত্ত্ব বিভাগের ড. হাসান ফুয়াদ এলতাজ। অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এলতাজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন সর্বোচ্চ অভিভাবক। নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়ে। যদিও ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা গেছে। রুটিন দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমার নেওয়া দায়িত্বটা রুটিন ওয়ার্ক। এটা সাময়িক। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ব্যাপক কার্যক্রম সেটা স্থগিত করে জরুরি সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

আশা করছি অচিরেই এখানে একজন পূর্ণাঙ্গ ভাইস চ্যান্সেলর আসবেন এবং পুরোপুরি কার্যক্রম চালাবেন। সেশনজট কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থীসহ সবার সঙ্গে বসে ফলপ্রসূ সমাধান বের করতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি অনলাইনে ক্লাস নিয়ে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় কি না ভেবে দেখব। যেন ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসে শেষ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো শিক্ষার্থী। তাদের কথা চিন্তা করে সবার সহযোগিতা নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টাই থাকবে আমার।

সর্বশেষ খবর