মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

কাঠের সেতু তলিয়ে দুর্ভোগে ৫০ গ্রামের মানুষ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

কাঠের সেতু তলিয়ে দুর্ভোগে ৫০ গ্রামের মানুষ

নওগাঁর আত্রাইয়ের শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তার তারাটিয়ায় খাল পারাপারের জন্য তৈরি করা কাঠের সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এরপর থেকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই অঞ্চলের অন্তত ৫০ গ্রামের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে। এখন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় খালটি পারাপার হতে হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় শাহাগোলা ইউপি ভবানীপুর-শাহাগোলা স্টেশন বাজার রাস্তায় ২০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় নওগাঁ এলজিইডি বিভাগ। এজন্য পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলা হয়। গত বছরের ৯ নভেম্বর ব্রিজ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু করে চলতি বছরের মে মাসে। এরপর থেকে নির্মাণকাজের কোনো অগ্রগতি নেই। বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে যাওয়ার অজুহাতে নির্মাণকাজ ফেলে রেখে চলে যান ঠিকাদার। কাজ শুরুর আগে চলাচলের জন্য ঠিকাদার স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই একটি নিচু কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। যা খালে একটু পানি বৃদ্ধি পেতেই তলিয়ে গেছে। শ্রীরামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বলেন, শাহাগোলা, ভবানীপুর, তারাটিয়া, শ্রীরামপুরসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র শাহাগোলা-ভবানীপুর রাস্তা। এ রাস্তার তারাটিয়া ব্রিজ ভেঙে ফেলায় থমকে পড়েছে এ অঞ্চলের জীবনযাত্রা। শুষ্ক মৌসুমে ব্রিজটি ভেঙে কাজ না করেই ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। পুনরায় ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু হবে কি না সেই ধোঁয়াশার মধ্যে আমরা। ভবানীপুর গ্রামের সুজন, আবদুর রশিদসহ অনেকেই জানান, পথচারীদের পাশাপাশি জরুরি পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় এ ব্রিজের কারণে প্রত্যন্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যদি কাঠের তৈরি সেতুটিও একটু উঁচু করে দিত তাহলে ভ্যানগাড়িসহ ছোট ছোট যানবাহন সহজেই চলাচল করতে পারত। নওগাঁর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ওই খালে পানি জমে থাকার কারণে ব্রিজটির নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব। আর পাশে সংযোগকারী কাঠের সেতুটি বেশি উঁচু করলে খরচও অনেক বেশি হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিরও প্রয়োজন হয়। এখানে ঠিকাদারের লাপাত্তা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সর্বশেষ খবর