শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে নারায়ণগঞ্জে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে নারায়ণগঞ্জে

নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। প্রতিদিনই শহরের প্রধান দুই হাসপাতাল তথা ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল এবং খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩১২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। এই ডেঙ্গু রোগী বাড়ার পেছনে মশক নিধন অভিযান পরিচালিত না হওয়াকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা হলে হয়তো ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ত না বলে মনে করছেন তারা। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রস্তুতিও রয়েছে। শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে আপাতত ডেঙ্গু টেস্টিং কিটের সংখ্যা কম থাকলেও দু-এক দিনের মধ্যে সেটার সমাধান হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি মাস থেকেই নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। শহরের প্রধান দুই হাসপাতালের মধ্যে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ রিনা আক্তার বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ নিয়ে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন আমরা তাদের ভর্তি নিচ্ছি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জহিরুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্যালাইনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুত রয়েছে। কিট কিছুটা কম আছে। নতুন কিটের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে কিট চলে আসবে। খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, আগের মাসগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ খুবই কম ছিল। এ মাস থেকে একটু বাড়তি রয়েছে। বৃষ্টি পরবর্তীতে জমানো পানিতে মশা ডিম পাড়ে। আমাদের সচেতন হতে হবে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আমরা সেই সচেতনতা দেখছি না। এখন পর্যন্ত মশক নিধন কোনো অভিযান দেখছি না। তিনি আরও বলেন, মশক নিধন অভিযান পরিচালনা না করলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যাবে না। ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেটা যেন আমাদের নারায়ণগঞ্জে না হয়। মশা যেন বংশবিস্তার করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নারায়ণঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, তুলনামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম। এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে যেটুকু বাড়ছে সেটা মশক নিধন অভিযান না থাকার কারণে বাড়তে পারে। কারণ নারায়ণগঞ্জে মশক নিধন অভিযানগুলো ঠিকমতো হচ্ছে না। সিটি করপোরেশন হয়তো সেই কাজগুলো করছে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, মশক নিধন অভিযান হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। আমরা নিয়মিত প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সচেতনতার অভাবে আমাদের উদ্যোগ সফল হচ্ছে না।

 

 

সর্বশেষ খবর