নোয়াখালী সদর উপজেলায় রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে শহীদ নামে এক যুবককে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। পুলিশ পাহারায় সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। শহীদকে হাত-বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পেটানোর ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিহতের স্বজনরা এ ঘটনার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল বারি ও তার সহযোগীদের দায়ী করেছেন। গণপিটুনির ঘটনায় মামলা হয়েছে সুধারাম থানায়। স্থানীয় চৌকিদারসহ অজ্ঞাত ৮০০-৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল বারি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে যৌথবাহিনীকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমি যাওয়ার আগে কী ঘটেছে জানি না। সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, শহীদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটা দেখেছি। চেয়ারম্যান ঘটনায় জড়িত কি না তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় গণপিটুনির শিকার হন শহীদ। ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত মারা যান তিনি। শহীদ চর মটুয়া গ্রামের মমিনুল্লাহ মুন্সির ছেলে।