শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

লাল শাপলার সৌন্দর্যের লীলাভূমি

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

লাল শাপলার সৌন্দর্যের লীলাভূমি

বাসাইলে লাল শাপলা ফুল শোভা ছড়াচ্ছে। বিশাল বিলটি এখন লাল শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো তুলার মতো মেঘ আর বরফসাদা কাশফুল ফোটার এই শরতে রাশি রাশি ফুটন্ত শাপলার দেখা মিলবে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা সদরের কলেজ পাড়া বিলে। যা খ্যাতি পাচ্ছে লাল শাপলার বিল নামে। মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতি প্রেমীদের। রোদের তাপে নুইয়ে পড়ে বলে ভোরের সূর্য ওঠার আগেই লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসে নানা প্রান্তের প্রকৃতি প্রেমীরা। সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ বিলের পাড়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে ডানা মেলা কাশফুল। যা জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষা শেষে শরৎ এর আগমন। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোরে দূরদূরান্ত থেকে শত শত প্রকৃতি প্রেমীরা ফুটে থাকা লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন বাসাইল পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকার এই বিলে। রোদের তাপে নুইয়ে পড়ে বলে ভোরের আলো ফুটতেই লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন নানা বয়সি নারী-পুরুষ। কেউ কেউ কাদা মারিয়ে শাপলা তুলে খোঁপায় গুঁজছেন, আবার কেউ শাপলা তুলে ছবি তুলছেন। এ যেন লাল শাপলা ফুলের মেলা। কেবল সৌন্দর্য উপভোগই নয় এই লাল শাপলা হয়ে উঠেছে প্রান্তিক মানুষের জীবিকার উৎসও। এখান থেকে প্রতিদিন আহরোণ করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার শালুক। তবে বিলে নৌকা না থাকায় নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থী সাথী আক্তার বলেন, আমি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে এখানে লাল শাপলা দেখতে এসেছি দেখে অনেক ভালো লাগল। শিক্ষার্থী আইরিন বেগম বলেন, আমি এখানে প্রথম এসেছি। বিলের শাপলা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। মমতা বেগম বলেন, আগে এখানে মানুষ আসত না। এখন লাল শাপলা দেখে অনেক মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসতেছে। বিনোদনের একটা জায়গা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর