শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

কমছে পানি চলছে তীব্র নদীভাঙন

তিস্তা ও ধরলার ভাঙনে চার দিনে আড়াই শতাধিক পরিবার গৃহহীন নদীভাঙা মানুষের আশ্রয় হয়েছে স্কুল, রাস্তা ও বাঁধে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কমছে পানি চলছে তীব্র নদীভাঙন

বন্যার পানি কমার সঙ্গে জেলার তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র হয়েছে তিস্তা নদীর ভাঙন। জেলার অন্তত ২০টি পয়েন্টে  দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটে ও ধরলার ভাঙনে উলিপুরে চারদিনে আড়াই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এক মাস আগেও নদীভাঙন দেখা দিয়েছিল। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও ভাঙনের কবলে পড়ছে নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা জানান, নদীর পানি কমছে। তবে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি। বর্তমানে জেলার তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। শুধু তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটের গতিয়াশাম ও ধরলার ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জে গত চারদিনে আড়াই শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। নদীভাঙা এসব মানুষের অনেকেই স্কুল, রাস্তা ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের বাসিন্দা আলতাব হোসেন জানান, তিস্তার পানি কমে গিয়ে নদীভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আমাদের এলাকার অনেক ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এদিকে, নিচু এলাকার প্রায় ৫শত হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে প্রাইমারী স্কুলসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীভাঙনের কবলে রয়েছে। সেখানে জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করছি আমরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রোপা আমনের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে চরের শাকসবজি ও মরিচ খেতের কিছুটা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে গতকাল কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কালিরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া। তিনি নদীভাঙন কবলিত স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলার রাজারহাট উপজেলার কালিরহাট এলাকায় এ মতবিনিময় সভা হয়। মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূইয়া বলেন, তিস্তা নদীর মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে অনুন্নয়ের বাজেট থেকে পর্যাপ্ত বাজেট দিয়ে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভাঙনকবলিত এলাকায় কাজ করা হবে। এ ছাড়া ২য় পর্যায়ে ডিপিপিতে ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদী খননের কথাও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর