সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

যানজটের শহর সৈয়দপুর

তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকে দুষছেন বাসিন্দারা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ ও বাণিজ্যিক শহর। সরকারের রাজস্ব আদায়ের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে এ উপজেলা। তবু এখানে নাগরিকদের মিলছে না কাক্সিক্ষত সেবা। শহরের মূল সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। ২৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ শহরে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বসবাস। সেই তুলনায় যাতায়াতের রাস্তা খুবই কম।

১৯৫৮ সালে সৈয়দপুর পৌরসভার যাত্রা। তখন অধিবাসীর সংখ্যা ছিল বর্তমানের ১০ ভাগের এক ভাগ। জনসংখ্যার সঙ্গে বেড়েছে যানবাহন। অথচ ৬৬ বছর আগে রাস্তার প্রশস্ততা যা ছিল আজও তাই আছে। ফলে সড়কে যানজট যেন নিয়মিত দৃশ্য। সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় রাস্তার প্রশস্ততা অনেক কম। বর্তমানে যতটুকু রাস্তার প্রশস্ততা আছে তার দুই পাশ থাকে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানিদের দখলে। ঘনবসতির এই শহরে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান চলাচল করে। আবার বিষফোঁড়া হয়েছে পণ্যবাহী বড় ট্রাক। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এসব মোটরযান দিনে শহরে প্রবেশ করে। ওঠানামা করে মালামাল। যানজটের এটাও অন্যতম কারণ। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যানজটের কবলে পড়ে চরম বিড়ম্বনার শিকার হয়। তিনি রাস্তার প্রশস্ততা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) মাহফুজার আলম বলেন, মানুষের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা কমে এসেছে। ট্রাক চালকরা কথা শোনেন না। তার মতে, ধারণক্ষমতার প্রায় পাঁচ গুণ ইজি অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান সৈয়দপুর শহরের রাস্তায় চলাচল করে। প্রত্যেক স্থায়ী দোকানের সামনে বসছে অস্থায়ী দোকান। এতে পথচারীর জায়গা থাকছে না। 

তিনি জানান, শহর যানজটমুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ, ট্রাফিক পুলিশ ও ব্যবসায়ী সংগঠনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। শহরে যানজন কমলে মানুষের কর্মঘণ্টা বাঁচবে। ব্যবসায়ীদের বাড়বে বেচাকেনা। সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, শহরে রাস্তার মাস্টার প্ল্যান না থাকায় যানজট হচ্ছে। তার পরও আমরা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। সৈয়দপুর পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, যানজট নিরসন পুরোপুরি সম্ভব নয়। সহনীয় পর্যায়ে আনার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর