গাজীপুরে নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল নয়াপাড়া থেকে গতকাল লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। দুজনই ভাঙারির দোকানে কাজ করতেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার এসআই তাইম উদ্দিন জানান, সিটি করপোরেশনের বাইমাইল নয়াপাড়ার সোহাগ মিয়ার মেয়ে পারভীন আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জালাল মিয়া (৪০)। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। নয়াপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জালাল। তারা কাজ করতেন ভাঙারি দোকানে। রবিবার সকালে ঘরে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ নেন প্রতিবেশীরা। তারা টিনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে ধরনার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় জালাল মিয়াকে এবং পারভীন আক্তারের লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ দম্পতির লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তাইম উদ্দিন আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে পারভীন কীটনাশক খেয়ে এবং জালাল ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ায় পিটিয়ে আবদুল করিম (৭০) নামে এক মুদি দোকানিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায় গতকাল বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল করিম ওই এলাকার জয়নাল ঢালীর ছেলে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত সনেট হালদার, তার চাচা মোশারফ হালদার গা ঢাকা দিয়েছেন।
জানা যায়, সদরের ধলাগাঁও বাজারে করিমের দোকান থেকে বাকিতে পণ্য কেনেন প্রতিবেশী মোশারফ হালদার। দীর্ঘদিন হলেও পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি মোশারফ। গতকাল বিকালে টাকার জন্য মোশারফের বাড়িতে যান করিম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশারফ, তার ভাতিজা যুবলীগ কর্মী সনেট গং বাড়ির ভিতরেই ব্যবসায়ীকে লাঠি দিয়ে পেটায় এবং কিল-ঘুষি মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাড়িতে আসার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।