ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ অংশে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে বাড়ে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ। ফলে ভোর থেকে মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক বলেন, একদিকে টানা ছুটির কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অন্যদিকে মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় খানাখন্দের কারণে যানবাহন যথাসময়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থান যেতে পারছে না। ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টি আই আবু নাঈম বলেন, পূজার ছুটিতে মানুষ গ্রামে ছুটছে। এতে ভোর থেকেই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সঙ্গে যানজটও বাড়তে থাকে। এ ছাড়া কাঁচপুর, মদনপুর এলাকায় প্রচুর খানাখন্দ থাকায় গাড়ি খুব ধীরগতিতে যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা, ভুক্তযোগী যাত্রীরা জানান, ভোর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট ধীরে ধীরে দীর্ঘ হতে থাকে। এ যানজট সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, মৌচাক ও বন্দরের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ নানা ধরনের যানবাহন আটকে পড়ে। যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যানবাহনগুলো দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, এ যানজট সাইনবোর্ড থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ওসি রেজাউল হক বলেন, যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে। টি আই আবু নাঈম বলেন, আমাদের টিম সকাল থেকেই কাজ করছে।