কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কাঁচা মরিচ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পেঁপে, ধানসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় কাঁচাবাজারে। বেড়েছে সব ধরনের শাক-সবজির দাম।
নওপাড়া ইউনিয়নের কুড়ানিয়ারচর গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন জানান, তিনি ধারদেনা করে এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে মরিচ ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। বৃষ্টিতে গোড়া পচে মরিচ গাছ মারা গেছে। মরিচের সাথি ফসল হিসেবে ২০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিলেন। সেই গাছও মারা যাচ্ছে। গাছে ১০০-১২০টি কুমড়া ছিল। সেগুলো তুলতে গিয়ে দেখেন, সব পচে গেছে। শুধু আকরামই নন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে মধুখালী পৌর এলাকাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক কৃষকের খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। রায়পুর ইউনিয়নের আবদুর রহমান বলেন, ৩৫ শতাংশ জমির আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে আছে। চারা পচে গেলে আবার লাগানো লাগবে। এতে খরচ বাড়বে। পৌর সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক আবদুল আলিম বলেন, বৈকণ্ঠপুর মাঠের জমিতে লাগানো কুমড়া অতিবৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেক পচে গেছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অতিবৃষ্টিতে মধুখালীতে ২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ফুলকপি ১ হেক্টর, বাঁধাকপি ০.৫, মিষ্টি কুমড়া ৬, শসা ১, করলা ০.৫, পেঁপে ১, কলা ১ ও ১ হেক্টর অন্যান্য সবজি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব ইলাহী বলেন, মেগচামী ও গাজনা ইউনিয়নের আগাম শীতকালীন সবজির বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কমবেশি সবজি নষ্ট হওয়ায় বাজারে দামের প্রভাব পড়েছে।
আবহাওয়ার উন্নতি না হলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। ক্ষতির তথ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি।