‘বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাতের মাধ্যমে দেহের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বালাম ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-ব্রি। নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৭ উচ্চ প্রোটিন ও অ্যামাইলোজ সমৃদ্ধ। এ ধানের তৈরি চালের ভাত খেলেই শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া যাবে।’ ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিনা খাতুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ব্রি ধান-১০৭ এর চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯.৩ ও প্রোটিনের পরিমাণ ১০.২ শতাংশ। এটি উচ্চ ফলনশীল বোরো জাত। জাতটিতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত যে কোনো জাতের চেয়ে কম।
ব্রি গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রোমেল বিশ্বাস বলেন, ব্রি ধান-১০৭ ধান গোপালগঞ্জে প্রথম চাষাবাদে কৃষক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন। খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে এ ধান। পুষ্টিহীনতা দূর করতে রাখবে ব্যাপক ভূমিকা।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় বলেন, এ ধানের চালের ভাত খেলে শর্করার সঙ্গে হাই প্রোটিন পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলো উচ্চফলনশীল।
আমরা গোপালগঞ্জে ব্রি উদ্ভাবিত ধান চাষাবাদ সম্প্রসারণ করছি। অধিক ফলন পেয়ে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।