লাইলি-মজনুর দুই সন্তান- রাজা আর বাদশা। একইসঙ্গে ছিল এতদিন দুই ভাই। এবার ঘটলো বিচ্ছেদ। বাদশা চলে গেল অন্য এলাকায় বান্ধবী নোভার কাছে। আর রাজার সঙ্গীনি হয়ে এলো বর্ষা। ভাইকে ছেড়ে নতুন সঙ্গীনি নিয়ে সিংহ রাজা-বাদশার কেমন সময় কাটবে তা এখন দেখার অপেক্ষা।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে সিংহ রাজার সঙ্গীনি হিসেবে রংপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে সিংহী বর্ষাকে। এর বদলে সিংহ বাদশাহকে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর এম এম মোশারফ হোসেন জানান, রংপুর চিড়িয়াখানায় দুটোই সিংহ। অপরদিকে চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় দুটো সিংহী। এদের বংশ বৃদ্ধির প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম থেকে বর্ষা নামে এক সিংহীকে রংপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্ষার আরেক বোন নোভার সঙ্গী হিসেবে রংপুর থেকে বাদশাহকে রাতেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পাঠানো হচ্ছে।তিনি আরো জানান, রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে সোমবার বিকেল ৫টায় রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছায় সিংহী বর্ষা। আপাতত কয়েকদিন রাজার পাশেই আলাদা কক্ষে বর্ষাকে রাখা হবে। একে অপরকে চেনা-জানার পর তাদের একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০০৮ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় মা লাইলির গর্ভে জন্ম হয় সিংহ রাজা ও বাদশার। এরপর সেখানেই তাদের বেড়ে ওঠা।
এর আগে ১৯৯২ সালের ৮ আগস্ট ঢাকা চিড়িয়াখানায় জম্ম নেওয়া সিংহী লাইলিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয় ১৯৯৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১১ সালের ৭ জুন মারা যায় লাইলির স্বামী সিংহ মজনু। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর মৃত্যু হয় লাইলির।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ