নেত্রকোনার সদর উপজেলায় খোঁজ মিলেছে এক পদ্মবিলের। যেখানে সারি সারি ডিঙি নৌকা করে ঘুরে বেড়াতে আসেন দর্শনার্থীরা। বিকেল হতেই ভিড় বাড়তে থাকে বিলটিতে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী এবং বিভিন্ন বয়সের নারীরা বেশি ঘুরতে যান। আর এটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কিছু স্থানীয় নৌকা চালকের।
নেত্রকোনা জেলা সদরের চল্লিশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর নুরপুর গ্রাম। শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই গ্রামটিতে গইঞ্চাতুল নামক বিলে বেশ কয়েক বছর ধরে ফুটছে পদ্মফুল।
আর এই করোনাকালে সৌন্দর্য পিপাসুদের চোখে দেখা মিলেছে বিলটির। হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে পদ্মফুলের সাথে সেলফি। আর সে সকল ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে নানা রঙের কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত হন তারা।দর্শনার্থীরা এই বিলের নামকরণ করেছেন পদ্মবিল। আর নৌকা চালকরা ভাড়ায় প্রতিজন থেকে ১০০ বা ১৫০ টাকা করে নিয়ে থাকেন।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী কিশোরগঞ্জের কৃষি অফিসার সিলমিন জাহান ইলমা জানান, তিনি তার বড় বোনের কাছে এই বিলের কথা শুনছেন। ছবি দেখে মুগ্ধও হয়েছেন। তাই অসম্ভব সুন্দর বিলটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। শহরের খুব কাছাকাছি এত সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে কিছুক্ষণ ঘুরে আনন্দই পেয়েছেন।
তবে এটি কৃষি বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিলে প্রকৃতি যেমন সুন্দর রূপ পাবে, তেমনি এলাকাটির উন্নয়ন ঘটবে বলেও জানান তিনি।
নৌকা চালক আকরাম জানান, তিনি পড়াশেনার পাশাপাশি পদ্মফুলের বিলে নৌকা চালিয়ে বেশ কিছু টাকা আয় করেছেন। তা দিয়ে নিজের যেমন খরচ চলে, তেমনি সংসারেও কিছু দিতে পারেন।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী আমিন খান জানান, বিলটিকে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করলে এটিতে ময়লা বা প্লাস্টিক কিছু ফেলতে পারবে না। সেইসাথে ফুলগুলো ছিঁড়বে না। মানুষের নিরাপত্তাও যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি এলাকাবাসীর উন্নয়নও ঘটবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
