২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কুষ্টিয়ার সাথে ৫টি জেলার রেল যোগাযোগ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে দুর্ঘটনার জন্য রেলের ঊধ্বর্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাাবিক করতে কাজ করছেন রেল বিভাগের কর্মীরা। ক্ষতি্গ্রস্ত ইঞ্জিন, বগি সরিয়ে নিয়ে লাইন মেরামত করার কাজ চলছে। আজ বিকাল নাগাদ লাইন মেরামত শেষে রেল যোগাযোগ পুনরায় স্বাভাবিক হতে পারে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার বড় স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও রেল লাইনের লেরলাইনের লোহার পাঠাতন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ট্রলির সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষের ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও অন্য কারও অবহেলা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২২টি বগি সংবলিত গমবোঝাই ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথে কুষ্টিয়া বড় স্টেশন ক্রস করে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার সাথে খুলনা, রাজশাহী, গোয়ালন্দ ও ফরিদপুরের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। এই কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলিতে করে তিনটি রেল নিয়ে রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়া আসছিলেন প্রকৌশল বিভাগের লোকজন। তারা কোনো সিগন্যাল ছাড়াই ওই লাইনে ট্রলি ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে একই লাইনে বিপরীত দিক থেকে মালবাহী ট্রেনটি ঢুকে পড়লে ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
প্রকৌশলী বীরবল জানান, ১২ ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালানোর পর ৪টিস বগি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও একটি বগি সরানোর কাজ চলছে। ১৭০জন কর্মী টানা কাজ করছে। বিকেল নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ