নাটোরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসায় এসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সেলিনা খাতুন (২৬) নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার সকালে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের সেনভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম কামরুল ইসলাম (৩০)। তিনি নলডাঙ্গা উপজেলার সেনভাগ গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে এবং জংলী মাদ্রাসার অফিস সহকারী। আর ভুক্তভোগী তরুণী সদর উপজেলার আবুল কালামের মেয়ে।
জানা যায়, মঙ্গলবার কামরুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন সেলিনা খাতুন। এসময় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন সেলিনা।তিনি বলেন, চার বছর যাবৎ তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ে করবে মর্মে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহার করেছে কামরুল। এখন বিয়ে করতে না চাইলে উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে কামরুলের বাড়িতে আসেন তিনি। কিন্তু তাকে কামরুল ইসলামের ভাই-বোন ও ভাবি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এদিকে, প্রেমিকার অনশনের খবর পেয়েই প্রেমিক কামরুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।
তবে অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, মেয়েটির অভিভাবকদের নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কলিমউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আগামী শনিবার বসা হবে বলে জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর প্রেমিকের পরিবার টাকা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নলডাঙ্গা থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই