২০ মে, ২০২১ ০৩:২৬

লাশের বস্তায় লেখা নাম থেকে খুনি শনাক্ত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

লাশের বস্তায় লেখা নাম থেকে খুনি শনাক্ত
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত এক নারীর লাশের পরিচয় বের করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের হুগলিয়া গ্রামের উদনাছড়া ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
 
পুলিশ জানায়, লাশের বস্তার গায়ে মো. অনিক শ্রীমঙ্গল লেখা সূত্র ধরে এগোতে থাকে পুলিশ। শহরের একটি মার্কেটে গিয়ে কাপড় ব্যবসায়ী অনিকের সন্ধান মিলে। অনিক ও তার ভাই পুলিশকে জানায়, এই বস্তাটি তাদের দোকানের।
 
মসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার রাতে বস্তাটি তাদের নিকট থেকে কিনে নেন। এই তথ্য পেয়ে পুুলিশ খুঁজতে বের হয় মসুদ মিয়াকে। রাত তিনটায় রামনগর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. মসুদ মিয়াকে। তার বাবার নাম মৃত এখলাছ মিয়া। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে বের হয় হত্যার রহস্য।
 
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, অজ্ঞাতনামা মৃত নারীর নাম ডলি আক্তার। বাড়ি ঝিনাইদহ। ৭/৮ মাস আগে শ্রীমঙ্গলে মসুদ মিয়ার সাথে পরিচয় সূত্রে তাদের বিয়ে হয়। ডলি ছিল মসুদের চতুর্থ স্ত্রী। বিয়ের পর তারা শহরের সিন্দরখাঁন সড়কে মসুদের বাসায় থাকতো। মসুদের আরো মেয়েদের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্য ঝগড়া হতো।
 
গত সোমবার ঝগড়া হলে মসুদ কাপড় ও রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে ডলিকে হত্যা করে। ওই দিন সারাদিন লাশ ঘরের মধ্যই ছিল। পরের দিন মসুদ প্লাস্টিকের বস্তা কিনে এনে লাশ ওই বস্তায় ভরে। রাতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে লাশের বস্তাটি উদনাছড়া ব্রিজ থেকে নিচে ফেলে দেয়। পথে সিএনজি অটোরিকশা চালক বস্তার ভেতরে কি আছে জানতে চাইলে মসুদ বলে মৃত গরুর বাচ্চা রয়েছে।
 
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে লাশের গলায় চিহ্ন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম এটা পরিকল্পিত হত্যা। পরে লাশের সাথে বস্তায় অনিক লেখা নামের সূত্র ধরে ঘটনা উদঘাটন করে খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’ 
 
বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর