২৬ মে, ২০২১ ১২:২৩

পটুয়াখালীর উপকূল পানিতে থৈ থৈ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর উপকূল পানিতে থৈ থৈ

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল আর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গোটা উপকূল পানিতে থৈ থৈ করছে। বাতাসের গতিবেগ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই পটুয়াখালীতে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা চলছে, থেমে থেমে হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। 

নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানিতে তলিয়ে গেছে অর্ধশত চর। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ এবং বাঁধ উপচে পানি ঢুকে পরেছে গ্রামের মধ্যে। এতে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরসহ গ্রামের মাইলের পর মাইল। জেলার সব ফেরীঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে মূল সড়কে পানিতে তলিয়ে যাওয়া ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মানুষের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জেলায় সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ভেঙে ও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে ঢুকে তিন দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতচরসহ নিম্মাঞ্চল। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। পানিবন্দী এসব এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত অনেকে চুলোয় জ্বলেনি উনুন। পানিবন্দী এসব মানুষের বাড়িতে খাবার পৌছে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী জানান, বুধবার দুপুর ১২টায় বিপদ সীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি বইছে আর মঙ্গলবার যা ছিল ৩৯ সেন্টিমিটার। তবে পানি আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর