শিরোনাম
৩১ মে, ২০২১ ১৬:০৬

বারোমাসি সজিনা চাষে সফল মোরশেদ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

বারোমাসি সজিনা চাষে সফল মোরশেদ

পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণে ভরপুর বারোমাসি সজিনার চাষ বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে ফরিদপুরে। আধুনিক প্রযুক্তিতে সজিনার চাষ করেছেন ফরিদপুর শহরের টেপাখোলার যুবক খন্দকার খালিদ বিন মোরশেদ। বর্তমানে তার এ বাগানটিতে গাছে গাছে দুলছে সজিনার ডাটা। 

মোরশেদের বাগানটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে। অনেকেই বাগান থেকে সজিনা কিনছেন কেউবা বাগান করার বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন। 

মোরশেদ জানান, নতুন কিছু করার জন্য ইউটিউবে সার্চ করেন বিভিন্ন সবজি চাষে। এরই মধ্যে চোখে পড়ে বারোমাসি সজিনা চাষের ভিডিওটি দেখে। এ থেকেই শুরু করেন সজিনা চাষ। শহরতলীর হাট গোবিন্দপুর এলাকার বেশ কিছু পতিত জমি নিয়ে শুরু করেন সজিনা চাষ। ৬ মাসের মধ্যে সজিনা বাজারে এনে বিক্রি করতে পেরে বেশ খুশি সে। 

মোরশেদ বলেন, ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বীজ সংগ্রহ করে ৭১ শতাংশ জমিতে শুরু করেন সজিনার চাষ। ৭১ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫শ বীজ বপন করেন। সম্পূর্ণ জৈব্য সার ব্যবহার করে সামান্য পরিচর্যায় বীজ বপনের ৬ মাসের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফুল আসে। বর্তমানে বাগানের গাছে গাছে ঝুলছে সজিনা ডাটা ও ফুল। গত দুই মাস ধরে নিয়মিত সজিনা বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। বাজারে সজিনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাইকারী ভাবে প্রতি কেজি সজিনা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর বাজারে প্রতি কেজি সজিনা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। 

তিনি বলেন, সজিনা বিক্রি করে তিনি বেশ লাভবান হচ্ছেন। আর কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো বাগান করতে গিয়ে যে খরচ হয়েছে তা উঠে আসবে বলে জানান তিনি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই আসছেন তার কাছে বারোমাসি সজিনা চাষ সর্ম্পকে জানতে। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সজিনা চাষে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সজিনা একটি ম্যাজিক ফসল। সজিনায় সব ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। সজিনার পাতা, ফুল, ফল, বাকল ও শিকড় সবকিছুই ব্যবহার করা যায়। ফরিদপুরে বাণিজ্যিক ভাবে সজনিা চাষে কৃষকদের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর