শিরোনাম
১ জুন, ২০২১ ১৮:৫৯

বগুড়ার কলেজছাত্রীকে বিয়ের পর বরিশালে এনে হত্যা, লাশ খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বগুড়ার কলেজছাত্রীকে বিয়ের পর বরিশালে এনে হত্যা, লাশ খুঁজছে পুলিশ

পুলিশের হাতে গ্রেফতার সাকিব হোসেন। ইনসেটে নাজনীন।

বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারের লাশ গত দুইদিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় খুঁজছে পুলিশ। ওই ছাত্রীকে তার স্বামী সাকিব হোসেন হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর বরিশালের বাবুগঞ্জ ও গৌরনদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তার লাশ উদ্ধার করা যায়নি।

মঙ্গলবার সাকিবের বাবার ভাড়া বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে একটি ওড়না ও নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনানিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভুয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করে সাকিব।

নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সাকিব। ওইদিন স্বামীর দরিদ্রতা নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে নাজনীনকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশটি বাসার পাশে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় সাকিব।

দুইদিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় সে অনুযায়ী গত দুই দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় পুলিশ নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

গত সোমবার সাকিবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার বাটাজোরের হরহর গ্রামে সাকিবের বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসাসহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ভাড়া বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে একটি ওড়না এবং একটি নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়। তবে তার লাশ উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার হওয়া ওড়না ও নখ নাজনীনের কিনা তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এই কয়েক দিনে একটি লাশ পচে গলে যেতে পারে না। গলে গেলেও কঙ্কাল থাকার কথা। সাকিবের দেখিয়ে দেওয়া সেফটিক ট্যাংকিতে কিছুই পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর