মাদারীপুরের রাজৈরে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রদান করেন।
তিনি জানান, গত ২৩ মে রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত কালু দর্জির ছেলে ভ্যানচালক মোতাহার দর্জি বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিল। এসময় আসামিরা তাকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে শুয়ে পড়েন। এরপর অন্যান্য আসামিরা তার শরীরে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাকে একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সামলা বেগম ২৫ মে বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মো. সাব্বির সেখ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. ইলিয়াস মোল্লা (৪৮)-কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্য মতে গত ৯ জুন রাতে রাজৈর থানা পুলিশ একই গ্রাম থেকে রোকন মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা (৪০), মো. জেলেম মোল্লার ছেলে মহিদুল মোল্লা (৪৮) এবং বাসাবাড়ী গ্রামের মৃত আক্কাস ফরাজীর ছেলে এমরত ফরাজী (৫০)-কে গ্রেফতার করেন।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মোতাহার দর্জির সাথে আসামি এমারত ফরাজীর দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এমারত ফরাজী মোতাহার দর্জিকে হত্যার জন্য অন্য আসামিদের সাথে দুই লাখ টাকার চুক্তি করে। এর মধ্যে অগ্রিম ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয় এবং খুনের পর আরও ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। হত্যাকাণ্ডে সাত জন অংশ গ্রহণ করে। যার মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি চাই লাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর হেড কোয়ার্টার মো. মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ) এহ্সানুর রহমান ভুইয়া, রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদী, ডিবি ওসি মো. আল মামুন, টিআই শাহ আলম মৃধা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মো. সাব্বির সেখ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত