২১ জুন, ২০২১ ১৫:৫৭

হস্তান্তরের আগেই নতুন ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

হস্তান্তরের আগেই নতুন ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ ফাটল

রংপুরের পীরগঞ্জে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রিজ হস্তান্তরের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ধুলগাড়ি গ্রামে আখিরা নদীর মরা খালের উপরে নির্মিত ওই ব্রিজটি এ ঘটনা ঘটে। ব্রিজ নির্মাণ ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ হয়নি বলে প্রকল্প কর্মকর্তা দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সূত্র জানিয়েছেন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৮ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফিট প্রস্থে বক্স কালভার্ট নামে ওই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। মিঠাপুকুর উপজেলার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ওই ব্রিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যাদেশ পায়। চলতি বছরের মার্চ মাসে ব্রিজ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হলেও সংযোগ সড়কের কাজ বাকি ছিল। 

গত শুক্রবার ব্রিজের দুই দিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্কাভার বা ভেকু দিয়ে মাটি ফেলতে থাকে। এসময় এলাকার লোকজন ব্রিজের উইং ওয়ালে ভাঙন, গার্ডার, টপ স্লাব ও এবাটমেন্টে ফাটল দেখতে পেয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণে বাধা দেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তড়িঘড়ি করে ভাঙন ও ফাটলের স্থানে সিমেন্ট ও বালি দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীর বাঁধার কারণে তা হয়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীর প্রস্থ অনুযায়ী ৭০ থেকে ৮০ ফুট ব্রিজ নির্মাণ না করে নদীর মাঝখানে ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ অর্ধ কিলোমিটার দুরে পূর্ব ও পশ্চিমদিকে দুটি ব্রিজ রয়েছে যার দৈর্ঘ্য ৭০ থেকে ৮০ ফুটের উপরে। এত ছোট ব্রিজে নদীর গতিপথসহ সংযোগ সড়কের মেয়াদকাল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। 

স্থানীয়রা আরও জানান, ব্রিজটি নির্মাণের শুরুতে সিসি ঢালাইয়ের সময় নদীর উপরের স্তর থেকে ঢালাই শুরু করা হয়। আলগা মাটি সরিয়ে গভীর থেকে সিসি ঢালাই সম্পন্ন হয়নি। সংযোগ সড়ক নির্মাণে নদীর পাড় কেটে কাদাযুক্ত নরম মাটি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ভাঙন ও ফাটল দেখা দিয়েছে।  

ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার তাজুল ইসলাম জানান, কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়নি, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে অদক্ষ ভেকু চালকের কারণে ভেকু ব্রিজে ধাক্কা লাগায় এ ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সংযোগ সড়কের উত্তর দিকের মাটি সরিয়ে দক্ষিণ দিকে চাপ দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনে ব্রিজ ভেঙে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর