৪ জুলাই, ২০২১ ১৯:৪৭

ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর ভাঙনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর ভাঙনরোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

সন্যাসীভিটা এলাকার চেল্লাখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকা।

কয়েকদিনে ঢলের পানি নিম্নাঞ্চলে নেমে গেছে। তবে নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ যে অবস্থায় রয়েছে, উজানে বৃষ্টি হলে সামান্য ঢলেই পানি প্রবেশ করবে আবার মাঠে। এই আশঙ্কায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নদীর পাড় ভাঙন এলাকা মানুষের। এলাকাবাসী দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন।

প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর উজানে টানা বর্ষণে হঠাৎ উত্তাল হয় খরস্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী। উজান থেকে ধেয়ে আসে পাহাড়ি ঢল। গত দশ বছরের তুলনায় এবার ঢলের পানির গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ। ঢলের পানির সাথে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছ ও লাকড়ি। গাছ ধরতে গিয়ে ঢলের পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যায় কালাকুমা গ্রামের যুবক বোরহান উদ্দীন।

পানির তোড়ে পৌরশহরের নিজপাড়া, গড়কান্দা, গোবিন্দনগর, খালভাংগা দিয়ে বাঁধ ভেঙে ভোগাই নদীর ঢলের পানি প্রবাহিত হয় মাঠে। বিশেষ করে শহরের গড়কান্দা, কালিনগর মহল্লার কিছু অংশসহ ৭ ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ঢলের পানি। আর চেল্লাখালীর ঢলে সন্যাসীভিটা এলাকার দুই তীরের চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে এক হাজার ১১৫টি পুকুরের মাছ ঢলের পানিতে ভেসে গেছে। আউশ ধান তিনশত হেক্টর ও  আমনের বীজতলা একশত হেক্টর ঢলের পানিতে বিনষ্ট হয়েছে। বিনষ্ট হয় কাঁচা-পাকা ঘর।

সন্যাসীভিটা গ্রামের হাশেম আলী বলেন, ‘আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। ভারতে আবার বৃষ্টি অইলে নদীতে ঢল অইবো। আর আমগর এলাকায় আবার পানি। তাই শক্তভাবে নদী বানদিলে চিন্তা মুক্ত অইতাম।’

বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, প্রায় ৭ থেকে ৮ শত ফুট চেল্লাখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব বেড়িবাঁধে বড় ধরনের কাজ ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য বরাদ্দ দিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই ভাঙা অংশে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, আমি ভাঙন এলাকার সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছি। বাঁধ নির্মাণটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ভাঙা অংশে তাৎক্ষণিক কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর