৫ জুলাই, ২০২১ ২২:১৪

কোরবানির হাট মাতাবে 'রাজা-বাদশা'

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ:

কোরবানির হাট মাতাবে 'রাজা-বাদশা'

নাম তাদের রাজা-বাদশা। নাম শুনলে সবাই আগেকার যুগের রাজা বাদশার কথাই ভাববেন। কিন্তু না, কুরবানি উপলক্ষ্যে আদর করে লালন পালন করা বিশালাকার দুটি ষাঁড়ের নাম রাজা ও বাদশা। ওজন, আকৃতি ও সৌন্দর্যে তারা নজর কাড়ে সকলের। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে। এবার ঝিনাইদহের কোরবানির পশুর হাট মাতাবে তারা। তবে করোনাকালে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড় দুটির মালিক মোয়াজ্জেম মোল্লা। 

ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের গাছ কুলচারা গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা। গত ৫ বছর ধরে গরু পালন করেন তিনি। নিজের গোয়ালের ফিরিজিয়ান জাতের একটি গাভি থেকে জন্ম নেয়া ষাঁড়ের বাচ্চা এখন দেশের সেরা বলেই ধারনা করছেন তিনি। 

গরুর মালিক মোয়াজ্জেম মোল্ল্যা বলেন, আমার কোনো গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৭টি গরু আছে। ৫ বছর আগে প্রথমে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফিরিজিয়ান জাতের গাভি গরু ক্রয় করি। তারপর থেকে আমার রাজা, বাদশা এবং উজির হয়েছে। এছাড়াও বকনা বাছুর হয়েছে। রাজা, বাদশা আগে হওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদে তাদের ছেড়ে দেব। আর উজির আগামী বছর বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমার গরুগুলো সাধারণ খাবার যেমন চাল, ভুসি, ছোলা, ফেসাড়ি এ ধরনের খাবার খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যন্ত আদর যত্ন করে গরু পালন করেছি। রাজার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৫০ মণ এবং বাদশার ৩৫ থেকে ৪০ মণের হবে। আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্য মূল্যে তাদের ছেড়ে দিতে চাই। 

প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় গত বছর কোরবানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২ টি। 

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর