আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে আবারও হামলা ভাংচুর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মুন্সীকান্দি ও বেহের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় মেম্বার প্রার্থী চাচা নুরুল আমিন দেওয়ান ও ভাতিজা ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ককটেলের, চালানো হয় গুলি।
আহত হয়েছেন জাহাঙ্গির (৪৫), বাবু (৩২), রবিন (১৮), কালাম শেখ (৩৫), তুহিন (১৮), রাকিব (১৮), শিশু জাহিদ (৬), রোকসনা বেগম (৪৫) পুতুল (২২), শাহপরান (৩০), আসিক (৩০), ইমরানসহ (২০) ১৫ জন। আহতদের গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রাম দুটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে গ্রাম দুটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন দেওয়ান ও প্রার্থী চাচা নুরুল আমিন দেওয়ানের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় ১০টি বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।হামলার শিকার দাবি করে চাচা নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি মেম্বার প্রার্থী হবো এমন ঘোষণা দেয়ার পর থেকে স্বপন আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমার লোকজনকে মারধরের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে আমরা কেউ গ্রামে ফিরতে পারছি না। আতঙ্কে দিনযাপন করছি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ভাতিজা স্বপন মেম্বার বলেন, নুরুল আমিন ও বিএনপি নেতা উজির আলীর লোকজন আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে ভাংচুর চালিয়েছে। হামলায় আমার কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, হামলা মারামারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা