কয়েকদিন পরই কোরবানির ঈদ। কিন্তু এবার ব্যস্ততা নেই চুয়াডাঙ্গার কামারপল্লীতে। গত বছরের তুলনায় এবার কাজ অনেক কম, বলছেন কর্মকারেরা। একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে লকডাউনে পশুর হাটগুলো বন্ধ। এসব কারণে চলতি বছর কোরবানির সংখ্যা কম হতে পারে। তাই ব্যস্ততা নেই কামারপল্লীতে।
চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের খোকা কামার বলেন, কোরবানির ঈদের বাকি আর কয়েক দিন। এসময় জেলার কামারপল্লীগুলো টুংটাং শব্দে মুখর থাকার কথা। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। কর্মকারেরা অনেকটা অলস সময় পার করছেন। আগের বছরগুলোতে যেখানে নাভিশ্বাস উঠে যেত। এবার সেখানে দিনে কাজ আসছে হাতে গোনা।
কামারদের মতে, বছরের অন্য সময় কাজের চাপ কম থাকে। তবে কোরবানির ঈদের এক মাস আগে থেকেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছরের চিত্র খানিকটা ভিন্ন। বাড়তি আয়তো দূরের কথা। দিন চালানোই কষ্ট হয়ে পড়ছে।চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সহ-সভাপতি শাহারিন হক মালিক বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কামাররা অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন। দুই-একদিনের মধ্যেই কিছু পশুর হাট খুলে দেওয়া হবে। এতে তারা কিছুটা আশার আলো দেখছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামিমুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে কিছু মানুষ কোরবানি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। তবে আগে থেকেই অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। হাটগুলো খুলে গেলে আবারো ব্যস্ততা বাড়বে কামারপল্লীতে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই