১০ আগস্ট, ২০২১ ২০:৪০

শিবচরে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগে অসংখ্য পাখির মৃত্যু

মাদারীপুর প্রতিনিধি

শিবচরে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগে অসংখ্য পাখির মৃত্যু

শিবচরে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগে অসংখ্য পাখির মৃত্যু।

মাদারীপুরের শিবচরে ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ফলে মারা পড়ছে অসংখ্য পাখি। সোমবার বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কালু বেপারীর কান্দি গ্রামে ফসলের ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কালু বেপারীর কান্দি গ্রামের কৃষক মালেক বেপারী, হুমায়ুন আকনসহ স্থানীয় কয়েকজন কৃষক সম্প্রতি তাদের ক্ষেতে ধান বীজ রোপণ করেছেন। এসময় বিভিন্ন পোকামাকড়-কীটপতঙ্গ দমনে ধানক্ষেতে গত দুইদিন আগে পোকা নিধনের বিষ প্রয়োগ করেন।

এরপর থেকেই দলে দলে ঘুঘু পাখিসহ দেশীয় নানা জাতের পাখি মরে পড়ে থাকে ক্ষেতে। গত শুক্রবার প্রথম দফায় পাখি মারা যায় ক্ষেতে। শনিবার আবারও বিষ প্রয়োগ করলে সোমবার বিকেলে দলে দলে পাখি মরে পড়ে থাকে ক্ষেতজুড়ে। 

স্থানীয় এক কলেজ ছাত্র বলেন, ‘পাখিরা ক্ষেতের ধান খেয়ে ফেলার কারণে স্থানীয় দুই কৃষক ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে দলে দলে বিলুপ্তপ্রায় ঘুঘু পাখি মারা পড়েছে। ঘুঘু পাখি বর্তমানে খুব বেশি দেখা যায় না। তার উপর ক্ষেতে বিষ দিয়ে যদি এভাবে মেরে ফেলা হয়, তাহলে তো এটা পরিবেশের জন্য হুমকি। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত।’

ক্ষেতে বিষ প্রয়োগকারী কৃষক হুমায়ুন আকন বলেন, ‘পোকামাকড় ক্ষেতের ধান নষ্ট করে ফেলে। আমরা তো বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেই খাই। পোকামাকড়ে সব সময়ই ফসল নষ্ট করে। পোকা মাকড় যদি না মারি তাহলে আমাদের কষ্টের সব ফসলই খেয়ে ফেলবে। তখন আমরা খাবো কী ? তাই পোকামাকড় মারতে ন্যাপথলিন মিশ্রিত ওষুধ ক্ষেতে দিয়েছি। এতে যদি ঘুঘু পাখি মারা যায় তাহলে আমি কি করবো?’

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, ‘ন্যাপথলিনে কখনো পোকামাকড় মারা যায় না। ঘুঘু পাখি মারা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ঘুঘু পাখি কীভাবে মারা গেলো সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে পোকামাকড় মারতে অন্য কোনো বিষের সাথে কেউ কেউ ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে পারে।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর