১১ আগস্ট, ২০২১ ২০:৫৮

সিরাজদিখানে ৫০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজদিখানে ৫০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ

সিরাজদিখানে ৫০ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ।

মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০টি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বাকি ৫০টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

সরেজমিন এমনটাই দেখা গেলো উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও এবং বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

সবুজ টিনের ছাউনি সমেত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গৃহহীন মানুষগুলো খুশির আনন্দে বলেন, জন্মের পর স্বপ্ন ছিল ভালো একটা ঘরে থাকার, হোক সে অন্যের জমিতে ভাড়া থেকে। কিন্ত আমাদের ভাগ্য এমনই ভালো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শুধু ঘর নয়, জমিসহ পাকা বাড়িই করে দিলেন।

বালুচরের কয়রা খোলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিধবা মিনু বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার সময় আমার ছেলেটি তখন কোলে, আমাদের জমি বা ঘর বলতে কিছু ছিল না। এই বুড়ো বয়সে এমন পাকাবাড়ি যার জন্য পাইছি সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করি।

বালুচরের কয়রা খোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের শমসের আলীর ছেলে রহিম বাদশা বলেন, আমাদের মতো গরিবদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছে তার উত্তম ফলাফল আল্লাহই দেবে। আমাদের দোয়া তার জন্য সবসময় থাকবে। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করবেনই।

কেয়াইন ইউনিয়নের হাজিগাঁও এবং বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা ২ শতাংশ করে জায়গাসহ ভালো পরিবেশে ঘর পেয়েছেন তাদের অনেকেই প্রতিবন্ধী এবং হতদরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন। মোটকথা এই জনপদে যারা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, যারা দিন আনে দিন খায়, মূলত তাদেরই বাড়ি এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার ৫০টি ঘর দৃশ্যমান হয়ে আলো ছড়াচ্ছে পুরো সিরাজদিখানে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাসজমির ওপর গৃহনির্মাণ করে জমির দলিলসহ ৫০টি উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গৃহহীনদের যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা।’

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্যও সুন্দর মনোরম পরিবেশে মানসম্মত ৫০টি পাকাবাড়ি নির্মাণ করে ২ শতক জমিসহ ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি খতিয়ান, রেকর্ড সংশোধনী ফি জমা দানের ডিসিআর, সার্টিফিকেট ও দাখিলা ইত্যাদি প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর