১২ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৫৬

থানার আঙিনায় উদ্ভিদ উদ্যান

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

থানার আঙিনায় উদ্ভিদ উদ্যান

থানার আঙিনায় উদ্ভিদ উদ্যান।

থানার প্রধান ফটকে দাঁড়ালেই দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। আর দু’কদম এগিয়ে বাম পাশে তাকালেই চোখে পড়ে ফলজ বাগান। ফুল বাগানে ফুটে আছে নানান জাতের ফুল। আর ফলজ বাগানে রয়েছে নানান জাতের ফলের গাছ।

থানা কমপ্লেক্সে সারি সারি টবে লাগানো আছে বাহারি রঙ্গের পাতা বাহারের গাছ। থানার অফিস ভবনের কার্নিয়ে ঝুলছে ফুলের টব। লাল, নীল সবুজ, হলুদ, সাদা নানান রঙ্গের রঙিন এসব ফুলে শোভা ছড়াচ্ছে থানা প্রাঙ্গণ।

এই ফুল বাগানের পাশেই রয়েছে ফল বাগান। এই বাগানে রয়েছে ৩৮ প্রজাতির ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষ। এই বাগানটির নাম দেওয়া হয়েছে উদ্ভিদ উদ্যান ‘কিশোলয়’। এই উদ্যান থেকে ছড়াচ্ছে সবুজের নিসর্গ। সবুজ প্রকৃতি আর নানান ফুলে রঙ্গিন এমন সুন্দর থানা প্রাঙ্গণ দেখা যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানায়।

থানার এই প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন এখানে আসা ভুক্তভোগীরাও। ক্ষণিকের জন্য হলেও তারা ভুলে যাচ্ছেন তাদের দুঃখ-বেদনা। গত ৩০ মে এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন সিলেট রেঞ্জ’র ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।

প্রায় দুই একর জায়গা নিয়ে উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়েছে। উদ্যানে রয়েছে আম, কাঠাঁল, লিচু, মালটা, কমলা, জাম্বুরা, লেবু, জাম, নারিকেল, পেয়ারা, জলপাই, আমলকি, তেঁতুল, কলা, কতবেল, লকটন, বরই, কমলালেবু, চালতা, আমড়া, বেল, গোলাপজাম, কামরাঙ্গা, আতা, ডালিম, বিলেম্বু, অরবরই, পেঁপে, বাতাবিলেবু, দারচিনি, এলাচি ও লাল পেয়ারা গাছ।

সরেজমিন দেখা যায়, তিন মাসে আগে লাগানো গাছগুলো আজ অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। গাছগুলো নিরাপদে বেড়ে ওঠার জন্য উদ্যানের চারপাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। আর বেড়াগুলো রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল-সবুজ রঙ্গে। একদিন ফুলে-ফলে ভরে উঠবে এই উদ্ভিদ উদ্যান। উদ্যানের গাছের ছায়া তলে এসে বুক ভরে নিশ্বাস নেবেন থানায় আসা মানুষেরা।

সেবা নিতে আসা উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুল ও ফল বাগানের থানার পরিবেশ বদলে গেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, মন ভরে ওঠে।’

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস ছালেক বলেন, থানা প্রাঙ্গণের শোভা বর্ধনের জন্যই ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। উদ্ভিদ উদ্যানে লাগানো গাছগুলো বড় হয়ে গেলে এখানে একটি ফলের বাগান হয়ে যাবে। তখন দেখতে আরো দৃষ্টিনন্দন হবে।’ 

সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, থানায় আসে মানুষ বিপদে পড়ে দুঃখ দুর্দশায় খারাপ মন নিয়ে। সেবা নিতে আসা এসব মানুষগুলো পুলিশের নিকট যাওয়ার আগেই থানার আঙিনায় সবুজের সমারোহ ও রঙিন ফুলের বাগান  দেখে তাদের মন অর্ধেক ভাল হয়ে যাবে। আর বাকি অর্ধেক মন ভাল হবে পুলিশের ভাল ব্যবহারে। আমাদের এই সুন্দর থানা, সুন্দর পুলিশ উপহার দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য; যেটা হলো জনগণের সেবা। এভাবেই একটু একটু করে বাংলাদেশ পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এর সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর