২১ আগস্ট, ২০২১ ০৩:০৯

দেবিদ্বারে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

দেবিদ্বারে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন।

সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কুমিল্লার দেবিদ্বার ও চান্দিনা সড়কে মানববন্ধন করেছে চালক ও শ্রমিকরা। শুক্রবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন সংলগ্ন চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলার সংযোগ সড়কের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চালকরা চাঁদা আদায় বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চালকরা জানান, চান্দিনা ও দেবিদ্বার উপজেলার প্রধান সংযোগ সড়কটির এক প্রান্ত দেবিদ্বার উপজেলা সদর, অপর প্রান্ত চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন। চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ৩০ টাকা জিপি নেয়। কিন্তু দেবিদ্বার উপজেলা সদরের স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ৮০ টাকা জিপি নেয়। ওই স্ট্যান্ডের দুই-তিনজন ব্যক্তি নতুন কোনো সিএনজি অটোরিকশা ওই সড়কে আসলে প্রথমে ৫ হাজার টাকা নিয়ে লাইনে যুক্ত করে। তারপর থানার নামে প্রতি মাসে ৬০০ টাকা এবং জিপির (গেইট পাস) নামে প্রতিদিন ৮০ টাকা করে চাঁদা নেয়।

সিএনজি অটোরিকশা চালক সালাউদ্দিন জানান, ওই সড়কে প্রতিদিন ৩০০ সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। সেই হিসাব মতে, শুধুমাত্র দেবিদ্বার স্ট্যান্ডে প্রতিদিন জিপি আদায় হয় ২৪ হাজার টাকা, ৬০০ টাকা মাসিক চাঁদায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বহিরাগত সিএনজি থেকে আদায় অন্তত ২০ হাজার টাকা, সর্বমোট প্রতিমাসে ৯-১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ওই হিসাব শুধুমাত্র চান্দিনা-বাগুর সড়কে।

একই রকম হিসাব রয়েছে দেবিদ্বার-জাফরগঞ্জ সড়ক, দেবিদ্বার-ফতেহাবাদ সড়ক, দেবিদ্বার-বড়শালঘর সড়ক, দেবিদ্বার-গুনাইঘর সড়কে। দেবিদ্বার পৌর এলাকার ৬টি স্ট্যান্ড থেকে অন্তত ১ হাজার সিএনজি অটোরিকশার একই হিসাবে প্রতিমাসে চাঁদাবাজরা অর্ধকোটি টাকা চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার কাজী সুমন জানান, আমাদের স্ট্যান্ডে সিএনজি চালানোর জন্য প্রতিদিন ৮০ টাকা জিপি নেই। তার বাইরে কোনো টাকা নেই না।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম জানান, থানার নামে যদি কেউ গরিব ওই চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে, তাহলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাকিব হাসান জানান, মূলত পৌর এলাকার ৬টি সিএনজি স্ট্যান্ড ব্যতীত উপজেলার কোনো স্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়নি। কাজী সুমন পৌর এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারাদার। চান্দিনা-দেবিদ্বার সড়কের শুধুমাত্র দেবিদ্বার উপজেলা সদরের স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটোরিকশার প্রতি ট্রিপ ৫ টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা নেয়, আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ার কোনো বিধি না থাকায় ইজারা দেওয়া হয়নি। চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর