২৯ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৪৯

শিয়ালের সাথে মানুষের ভালোবাসা ও সখ্যতা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

শিয়ালের সাথে মানুষের ভালোবাসা ও সখ্যতা

শিয়ালকে খাবার দিচ্ছেন ফজলুল করিম আরজু (বাঁয়ে) ও তার দেওয়া খাবার খাচ্ছে শিয়াল।

মানুষের সাথে শিয়ালের বন্ধুত্ব অনেকটা অসাধ্য হলেও শিয়ালের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করেছেন নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু। সন্ধ্যা নামলেই শিয়ালের দল গর্ত থেকে দল বেঁধে বেরিয়ে আসে। জড়ো হয় ডাকবাংলোর সামনে। অপেক্ষা কখন আসবে তাদের মনিব ফজলুল করিম আরজু।

কারণ, প্রতিদিন রাতে শিয়ালের জন্য খাবার নিয়ে হাজির হন তিনি। এভাবেই ধীরে ধীরে শিয়ালের সাথে আরজুর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। খাবার দিয়ে শুরু হয় কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা আর ডাকাডাকি। ডাক দিলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে শিয়ালগুলো। এটি প্রায় প্রতিদিনের চিত্র।

নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, লকডাউনের আগে খাবারের তেমন সংকট ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিন বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীর আগমন না থাকায় চরম খাবার সংকটে পড়েছিল তারা। তখনই তিনি খাবারের ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরো বলেন, তারা দেখতে অনেকটা ছোট। এরা নিরীহ ও অসহায় প্রকৃতির প্রাণী। তবে চিড়িয়াখানা ও বনবিভাগ কর্তৃপক্ষ যদি বিলুপ্ত এই প্রাণীটিকে রক্ষার দায়িত্ব নেন, তাহলে এটি রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি বলেন, এই কাজে তাকে অন্য সহকর্মীরাও সাহায্য করে থাকেন। তারা বলেন, প্রতিদিন খেঁক শিয়ালের জন্য খাবার রান্না করা হয়। আমরা যে খাবার খাই, সেই খাবার শিয়ালদের দেওয়া হয়। তারা ক্ষুধা পেলেই বাসার দরজায় এসে শব্দ করে ডাকাডাকি করে। প্রতিদিন তাদের জন্য আলাদা করে চাল কিনে ভাত, খিচুড়ি ও পাউরুটি দেওয়া হয়। তারা যতদিন থাকবেন, ততদিন এই প্রাণীদের জন্য খাবার সরবরাহ করবেন। শিয়ালের সাথে মানুষের ভালোবাসা ও সখ্যতার মেলবন্ধন আসলেই এক অপূর্ব দৃশ্য।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর