কুষ্টিয়ার বাজারে হঠাৎ করেই চিনি, আটা, সোয়াবিন তেল, কালাইয়ের ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম বেড়ে গেছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজি প্রতি ৮ টাকা, লুজ সোয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ৬ টাকা, আটা ও ময়দার দাম কেজি প্রতি ৬ টাকা, কালাইয়ের ডাল ৬ টাকা এবং এ্যাংকর ডাল কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজরে হঠাৎ করে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। চিনি, তেল, আটা, ডালসহ প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণেই কুষ্টিয়ার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিনে কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার এবং বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে বাজারে লুজ সোয়াবিন তেল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সোয়াবিন তেল এখন ১৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চিনির। দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতা সাধারণের কাছে এখন চিনির মিষ্টি স্বাদ অনেকটাই যেন নোনতা স্বাদে পরিণত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। আগে চিনির কেজি ছিল ৭০ টাকা। এখন সেখানে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আটা ও ময়দা ২৪ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে কালাই এবং এ্যাংকর ডালেরও। কালাইয়ের ডাল আগে ১২৪ টাকা কেজি ছিল। এখন সেখানে কেজিতে ৬ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ্যাংকর ডাল আগে ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি। আর এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। কুষ্টিয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁরা নিয়মিত মনিটরিং করছেন। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অসাদুপায় অবলম্বন করে কেউ যদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল