শিরোনাম
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:০০

লক্ষ্মীপুরে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে লাখো মানুষের দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুরে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে লাখো মানুষের দুর্ভোগ।

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকার ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাব ও মেঘনার ভাঙনের মুখে পড়ে জনগুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধটি যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে জেলা সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর উপজেলার নদী তীরবর্তী লাখো বাসিন্দাদের বর্তমানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদরের মজু চৌধুরীর হাট থেকে দক্ষিণে মতির হাট আর উত্তরে রায়পুর ও চাঁদপুর সড়কের সঙ্গে সংযোগ ১৪ কিলোমিটারের বেড়িবাঁধের বর্তমানে বেহাল অবস্থা। জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুরের নদী তীরবর্তী লাখো মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বেড়িবাঁধ। একই সঙ্গে যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে ও জলোচ্ছ্বাসে আশ্রয় নেওয়াসহ শহর রক্ষা বাঁধ হিসেবেও ভূমিকা রাখছে বাঁধটি।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ও মেঘনার ভাঙনে এখন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাঁধের কিছু অংশ পাকা থাকলেও বর্তমানে বেড়ির দুই পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। আবার কিছু অংশ সলিং হলেও তা এখন ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এছাড়া কিছু অংশ নতুন করে ভাঙনের হুমকিতে আছে। এমন পরিস্থিতিতে ৪টি উপজেলার নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের এ মাধ্যম সম্পূর্ণরুপে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহতসহ কোনো ধরনের যানবাহন না চলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্কুল কলেজে পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সড়কের বেহাল অবস্থায় সময় মতো পাঠদানে যোগ দিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তারা।

অনেকে জানান, চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারছেন না নদী তীরবর্তী অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যেতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সরকারের কাছে খুব দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় ভূড়ির ঘাট থেকে মতির হাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আর ভূড়ির ঘাট থেকে মজু চৌধুরীর হাট হয়ে রায়পুর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার বাঁধের সংস্কারের জন্য রাজস্ব বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও বরাদ্দ প্রাপ্তিতে কাজ শুরু হবে।

জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে কথা হয়েছে, প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি হচ্ছে, আমরা আশা করছি প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই খুব দ্রুত নদী তীরবর্তী মানুষ এ সংকট কেটে উঠতে পারবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর