শিরোনাম
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:৪০

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় অন্তঃসত্ত্বাকে দিনভর আটকে রাখার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

কিস্তির টাকা দিতে না পারায় অন্তঃসত্ত্বাকে দিনভর আটকে রাখার অভিযোগ

মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়ারচর গ্রামে রুমা আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে না পারার কারণে দিনভর এনজিও অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার মাদারীপুরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনজিওটির ম্যানেজার। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টিকে অমানবিক উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি বৃহস্পতিবার জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ ২০হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে নয়ারচর গ্রামের ভ্যান চালক মোস্তাকিন বেপারীর স্ত্রী রুমা আক্তার। করোনার কারণে নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না রুমা। পরে বুধবার দুুপুরে রুমাকে ঋনের কিস্তির জন্য ওই এনজিওটির মস্তফাপুর শাখার ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তার চাপ প্রয়োগ করে। রুমা কিস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জোরপূর্বক এনজিও অফিসে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

ঋণগ্রহীতা রুমা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যান চালক। করোনার কারণে ভ্যানে যাত্রী উঠেছে না। সেই কারণে আয় রোজগার কমে গেছে। তাই এই মাসের কিস্তির টাকা দিতে পারিনি। সেই কারণে এনজিও থেকে ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আপা এসে আমাকে জোড় করে অফিসে নিয়ে যায়। পরে আমাকে অনেক হুমকি ধামকি দিয়ে বলে কিস্তি পরিশোধ করে তোমার স্বামী তোমাকে ছাড়িয়ে নেবে। পরে একথা জানাজানি হলে সন্ধ্যার আজানের আগে আমাকে ছেড়ে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন মাতুব্বর বলেন, কিস্তির টাকা দিতে না পারার কারণে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এনজিওর লোকজন অফিসে আটকে রেখেছে। ঘটনাটি খুই অমানবিক। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে ওই এনজিওটির ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রুমা আপা এমনিতেই অফিসে এসেছিলেন। তাকে জোড়পূর্বক আনা হয়নি।
 
এনজিওটি শাখা ম্যানেজার ফারুক আহমেদ বলেন, রুমা নামে একটি সদস্য এসেছিল কিস্তি দিতে পারবে না সেটা জানাতে। তাকে জোড়পূর্বক আনা হয়নি। 

তবে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর