ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন দামুকদিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাশিদুল ইসলাম ওরফে উকিল মৃধা (৪৬)। এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই গ্রামটিতে ব্যাপক লুটপাট ও বাড়ি ঘর ভাংচুর শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
জানা গেছে, হত্যা পরবর্তী সময়ে রাতেই সহিংসতার আশঙ্কায় এক পক্ষ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে থানা পুলিশ একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে পালাক্রমে বিভিন্ন অফিসার ও ফোর্স ডিউটি করতো। কিছুদিন আগে ওই গ্রাম থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হলে প্রতিপক্ষরা শুরু করে তাণ্ডব। এ তাণ্ডবে রেহাই পায়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরও।
কাসেদ আলির ছেলে আবু কালাম ও ছলিম উদ্দিন শেখের ছেলে ওহিদুল ইসলাম দুলুর ঘরের জানালা-দরজা, ভেতরের বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের তার ও সরঞ্জামাদি এবং ঘরে থাকা কাপড়-চোপড় আসবাবপত্র ও নগদ টাকা লুট করে নেয় প্রতিপক্ষরা।শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর