ছেলেকে সুস্থ করতে বিক্রি করেছেন সহায় সম্বল যা ছিল তার সবকিছুই। অসহায় বাবাকে হার মানতে হয়েছে অর্থের কাছে। তাই ২ বছর বয়সে চিকিৎসার অভাবে ছেলে হারিয়েছে মানসিক ভারসাম্য। বিনা চিকিৎসায় ছেলেকে ২২ বছর শিকল বন্দী করে সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন বাবা-মা। সরকারি সহযোগীতা পেলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে এমনটিই আশা স্বজনদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধুলাবালি মাখা শরীর, পায়ে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এক যুবককে। মায়াভরা চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় এদিক ওদিক, বলতে পারে না কথা। কৃষক রেজাউল ইসলামের ছেলে হাসান ২৫ বছর বয়সের মধ্যে ২২ বছরই শিকল বন্দী। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবক হাসানের জীবন কাটছে এভাবেই।
অসুস্থতার কারনে আর দশটা শিশুর মতো প্রাণোচ্ছ্বল শৈশব কৈশর পায়নি হাসান। দিনে বাড়ির আঙিনার গাছে কিংবা বারান্দার খুঁটিতে আর রাতে চৌকির সাথে বেঁধে রাখা হয় তাকে। এভাবেই ২২টি বছর শিকল বন্দী জীবন কাটছে তার।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, ছেলেটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে সাহায্যে সহযোগীতা করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত