৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:২২

স্কুলে গেল মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সেই সুরাইয়া

অনলাইন ডেস্ক

স্কুলে গেল মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সেই সুরাইয়া

স্কুলে গেল মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া

কথায় আছে- সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা মাতৃগর্ভ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই মাতৃগর্ভে থেকেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মাগুরার শিশু সুরাইয়া। জন্ম হয় নানা জটিলতা নিয়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সুরাইয়ার ডান চোখ একবারেই নষ্ট হয়ে যায়। বাঁ চোখেও তেমন দেখতে পায় না। এভাবেই নানা প্রতিকূলতার মাঝ দিয়ে বড় হতে থাকে সে। 

দরিদ্র পরিবারে জন্ম তার। তবুও মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, সেবা আর আদর যত্নে ধীরে ধীরে বড় হয় সে। এইভাবে পূর্ণ হল সুরাইয়ার ৬টি বছর। ছোট শিশুদের স্কুলে যেতে দেখে সেও স্কুলে যেতে চায়।

তাই এবার সকল বাধা পেরিয়ে গত রবিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সে। তার ভর্তির সংবাদ নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা আক্তার।

উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরায় দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এলোপাতারি গুলিতে নাজমা বেগম এবং তার গর্ভে থাকা শিশু সুরাইয়া গুলিবিদ্ধ হয়। মাগুরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন সার্জন ডাক্তার শফিউর রহমান জটিল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সুরাইয়াকে পৃথিবীর আলো দেখান। তবে সুরাইয়ার মধ্যে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে বলে তার পরিবার জানায়। 

সুরাইয়ার বর্তমান অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তার মা নাজমা বেগম জানান, তার ডান চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। বাম চোখের অবস্থাও ভালো না। চিকিৎসক বলেছেন, ডান চোখে আর দেখতে পাবে না সে। ডান চোখ তুলে না ফেললে বাম চোখও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার সমবয়সীরা দৌঁড়ে বেড়ালেও সুরাইয়া এখনো দাঁড়াতে পারে না। কেউ দু’হাত ধরে দাঁড় করলেও ছেড়ে দিতেই সে পড়ে যায়। ইতিমধ্যে তার গলায় একটি টিউমারও ধরা পড়েছে।  সুরাইয়ার ডান পাশে জোর কমে যাচ্ছে। ডান হাতে সে কাজ করতে পারে না। চিকিৎসকেরা বলেছেন তার উন্নত চিকিৎসা পেলেই ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সেই অর্থনৈতিক ক্ষমতা নেই যে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেব। তারপরও আমরা তাকে স্কুলে ভর্তি করেছি। কারণ ওকে নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি। সৌজন্যে: মানবজমিন

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর