২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:১৭

ইছামতি নদী এখন চাষাবাদের ক্ষেত!

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইছামতি নদী এখন চাষাবাদের ক্ষেত!

ইছামতি নদী এখন চাষাবাদের ক্ষেত।

এক সময়ের নাব্যতা হারানো খরস্রোতা ইছামতি নদীতে এখন চলছে বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। নদী সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নদীর অনেক এলাকা ভরাট করে দখল করা হয়েছে। শুকনো মৌসুমের আগেই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী।

এতে জেলেরা দিন দিন পেশা বদলিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এখন যে কেউ দেখলে এটা নদী, তা বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ নদীতে পানি না থাকলেও নদীর বুকজুড়ে সমতল ভূমিতে রয়েছে বিভিন্ন ফসলের চাষ।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নশরতপুর এলাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী এখন ফসলের আবাদের সমতল ভূমি। নদীটি অস্তিত্ব সংকটে। তাই বছরের প্রায় সময় নদীতেই চলে ভুট্টা, ধান ও রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ।

এক সময়ের বহমান নদীটি বর্তমানে বছরের অধিকাংশ সময় শুকনো আর চাষাবাদের উপযুক্ত অবস্থায় পরিণত হয়ে থাকে। তাই নদীতে প্রায় সময় চলে চাষাবাদ। পানি না থাকার কারণে হারিয়ে গেছে স্থানীয় জেলেদের জীবনযাত্রা, দেখা দিয়েছে দেশীয় মাছের অভাব।

একসময় এই নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের চাষাবাদ করতো আর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো জেলে পরিবার। নদীটির জায়গায় জায়গায় খালে কিছু পানি থাকলেও এখন নদীর বেশিরভাগ অংশই সমতল কৃষি জমি হয়েছে।

নশরতপুর এলাকার রফিকুল উসলামসহ কয়েকজন জানান, ইছামতি নদীতে বেশির ভাগ সময়েই পানি না থাকায় জেলেরা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। আবার কেউ অন্যত্র চলে গেছে। আবার নদীতে পানি না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ। নদীর পানি না থাকায় শুকনো মৌসুমে সেচও দিতে পারেন না কৃষক। তবে নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই পরিকল্পনা নেওয়া দরকার, নইলে একসময় নদীটি সমতল ভূমিতে হারিয়ে যাবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর