১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:৪২
ভাইরাল

হাজতখানায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের সেলফি, ফেসবুকে পোস্ট

লিখলেন, ‘নৌকার নির্বাচন করতে গিয়ে কারাবরণ করতে হলো আমাদের’

অনলাইন ডেস্ক

হাজতখানায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের সেলফি, ফেসবুকে পোস্ট

হাজতখানায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের সেলফি, ফেসবুক পোস্ট

আদালতের হাজতখানায় থাকা বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনির তোলা সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়েছে।  

আজ বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তার ফেসবুক আইডিতে তিনটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘নৌকার নির্বাচন করতে গিয়ে কারাবরণ করতে হলো আমাদের।’ ছবিতে দেখা যায়, প্রথম ছবিটি (সেলফি) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার মধ্যে বসেই তুলেন সভাপতি শাহরিয়া, তার সঙ্গে আছেন সাধারণ সম্পাদক জনি। বাকি দুটি ছবির একটি তুলেন হাজতখানার মধ্যে থেকে। আরেকটি ছবি আদালতের বিচারকের এজলাশের কাঠগড়ায়।

ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা মামলায় বুধবার সকালে বামনা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনি জামিনের আবেদন করলে, জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. রাসেল মজুমদার।

মামলার বাদী তারিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আদালতের এজলাশ থেকে শুরু করে হাজতখানার মধ্যেও মোবাইল নিয়ে সেলফি তুলছেন, ফেসবুকে আবার সেসব ছবি পোস্ট করছেন। আমি এখনো নিরাপত্তাহীনতায় আছি। অবশ্যই এসব বিষয় প্রশাসন বিবেচনা করবেন।’

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মারুফ আহমেদ বলেন, ‘আদালতের বাইরে থেকে তার সমর্থকরা গোপনে ছবি তুলে নিয়ে যেতে পারে। তবে, হাজতখানার ভেতরে মোবাইল নিয়ে সেলফি তোলার কোনো সুযোগ নেই। এ সময় আদালতের হাজতখানার মধ্যে তোলা সেলফি তাকে দেখানোর পর তিনি বলেন, ‘হাজতখানার দায়িত্বে যেসব পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তাদের গাফিলতি থাকতে পারে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, বরগুনার বামনা উপজেলায় প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুজ্জামান সোহাগ ও বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক কর্মী আহত হন। তখন পুলিশের করা মামলায় কারাগারে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহাগ। পরে তার স্ত্রীর সহায়তায় সেখানে থেকেই বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনিকে প্রধান আসামি ও সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়াকে ২ নম্বর আসামি করে ২৭ জনের নামে মামলা করেন সোহাগ। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর